কক্সবাজার থেকে পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করে আনার সময় তিনি পাবনায় ধরা পড়েন। পেট থেকে ইয়াবা বের করার জন্য গত রবিবার রাতে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
সোমবার দুপুরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের সময় তার পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
এই মাদক ব্যবসায়ীর নাম আবদুস শুকুর (৩৭)। তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মোক্তার আহমেদ।
রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, আবদুস শুকুরকে আটক করে তার পেট থেকে বড়িগুলো বের করার জন্য প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে পরে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে শুকুর মারা যান। মারা যাওয়ার পরে তার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন পড়ে।
রাজশাহীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে একজন চিকিৎসক তার ময়নাতদন্ত করেন। এ সময় তার পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, বড়িগুলো এখন আলামত হিসেবে পাবনা থানায় পাঠানো হবে। আর তার লাশ পাবনা থানার উপপরিদর্শক সুব্রতকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদের বরাত দিয়ে ওসি শাহাদাত হোসেন খান আরও জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সাথে শুকুরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। ওই সময় তাদের কাছে ১৫০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, তাদের কাছে ইয়াবা আছে আরও অনেক বেশি। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে ইয়াবা আছে শুকুরের পেটের ভেতর।
পুলিশ শুকুরকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন যে, শুকুরের পেটে ইয়াবা আছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাদের কাছে নেই। তাই তারা শুকুরকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলী বলেন, ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। বাকি ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল। প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।